Amar Leader

তারুণ্যের স্লোগানে একটাই নাম তারেক রহমান

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তার আকস্মিক চলে যাওয়ার পর দলটির হাল ধরেন তার আদরের বধু খালেদা জিয়া। দলটির বর্তমান চেয়ারম্যান তিনি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেব আছেন তারুণ্যের প্রতিক জিয়াউর রহমানের বড় ছেলে তারেক রহমান। বাংলাদেশের লাখ-কোটি মানুষের আস্থা ও বিশ্বস্ততার প্রতীক হিসেবে ইতিমধ্যে তিনি স্থান করে নিয়েছেন নিজস্ব সকিয়তায়। পুরো বাংলাদেশ মানুষ অনেকটাই যার দিকে তাকিয়ে আছে অধীর আগ্রহে। বিশেষ করে জাতীয়তাবাদী শক্তির কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করা এই রাজনীতিবিদ বিগত বছরগুলোতে পাহাড়সম রাজনৈতিক চড়াই-উৎরাই সামলে নিজেকে প্রমাণ করেছেন দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির আগামীর কান্ডারী। দিন-রাত এক করে সকল গণতন্ত্রকামীদের রেখেছিলেন এক ছাতার নিচে। নানা সংকট,নির্যাতন-নিপীড়ন আর প্রলোভনের মুখেও নিজের দলকে রেখেছেন ঐক্যবদ্ধ।

৫ আগস্ট পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায়ও তার গৃহীত পদক্ষেপ ও বক্তব্য-বিবৃতি আলো ছড়াচ্ছে এখন সবমহলে। বিশেষ করে রাষ্ট্র সংস্কারে বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা নিয়ে দলটির ভাবনায় ফুটে উঠেছে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভবিষৎ কর্মপরিকল্পনা। তারেক রহমানের বর্তমান কার্যক্রম,পদক্ষেপ ও বক্তব্য বেশ সুবিবেচনাপ্রসূত ও গ্রহণযোগ্য, গণমানুষের আকাঙ্ক্ষাকে মাথায় রেখে কথা বলছেন তিনি।
ফলে ধীর গতির এই রাজনীতিবিদকে নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে দেশের আপামর জনতা। বিগত ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা এবং অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে দলকে সুসংগঠিত করার পাশাপাশি বাস্তব অবস্থার মুখোমুখি হয়েছেন তারেক রহমান। ফলে নিজেকে অনেক বেশি প্রস্তুত করেছেন বাংলাদেশের আগামীর স্বপ্নদ্রষ্টা তারেক রহমান।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বার্তা হচ্ছে এই দেশ কারো একার নয়, সবার। সব মানুষের জন্য একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়ার রাজনৈতিক শক্তি এদেশে কম। জিয়াউর রহমান এই জায়গাটা ধরতে পেরেছিলেন। এজন্যই তিনি বিশেষ কোনো ইজমের পলিটিক্সের বাইরে গিয়ে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদকে ধারণ করেছেন। তারেক রহমানও বাংলাদেশের রাজনীতির এই বাংলাদেশপন্থী শক্তিটাকেই রিপ্রেজেন্ট করেন। তিনি সাম্য এবং মানবিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন।

অবকাঠামোগত উন্নয়নের চেয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবিক মূল্যবোধ,আইনের শাসন এবং মানবাধিকারের জায়গা তারেক রহমানের ফার্স্ট প্রায়োরিটি। তারেক রহমানের রাষ্ট্র চিন্তায় আছে মাটি,মানুষ আর বাংলাদেশের মানচিত্র, আছে এক মানবিক বাংলাদেশ গড়ার আকাংখা,যেখানে মানুষকে মানুষ হিসাবে বিবেচনা করা হবে, কোনো বৈষম্য থাকবে না। পনেরোটি বছর ধরে বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ যে রাষ্ট্র গঠনের জন্য জেল, জুলুম, নিপীড়ন, নির্যাতন, খুন, গুম সহ্য করেছে সেই বাংলাদেশ গড়ার চিন্তাই তারেক রহমানের রাষ্ট্র চিন্তা। বাংলাদেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের স্বপ্নকে ধারণ করে আগামী দিনে নতুন প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়াই তাঁর রাজনীতির মূল লক্ষ্য।পরিবর্তিত রাজনীতিকে সহনশীল রাজনীতি, উদার-গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় নিরবে কাজ করে তারেক রহমান আজ পুরো দেশের মানুষের কাছে এক সম্ভাবনার নাম।

তারেক রহমান বাংলাদেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে রয়েছেন, কারণ তার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।
তারেক ১৯৮৮ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তিনি ১৯৯১ সালের নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ করেন, কিন্তু পরে খুব একটা সক্রিয় ছিলেন না, যদিও বিএনপি সরকার গঠন করে। তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনী প্রচারে পুনরায় সক্রিয় হন এবং বিএনপি নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে। তার দৃঢচেতা মনভাবই আগামির বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে। তিনিই হয়ে উঠবেন তারুণ্যের আলোর দিশা, তারুন্যের স্লোগান। মুখে মুখে উঠে ফুটে যার নাম তারেক রহমান।

Leave a Comment